অনুষ্কা-বিরাটের দাম্পত্য জীবনে দুঃসময়ের ছায়া: কী বললেন সতীর্থ হরভজন সিংহ?

More From Author

See more articles

Ganesh Chaturthi 2025: Get A Perfect Guide for Welcoming...

Ganesh Chaturthi 2025 falls on Wednesday, August 27, with the most auspicious installation time being the Madhyahna...

Ganesh Chaturthi 2025: 10 Life-Changing Vastu Remedies That Attract...

Ganesh Chaturthi 2025 falls on August 27, with the 10-day Ganeshotsav celebration lasting until September 6, 2025...

PM Modi’s Bold Stand: “Pressure May Increase, But We...

Prime Minister Narendra Modi delivered a defiant message ahead of the August 27 deadline for Trump's punitive...

অনুষ্কা-বিরাটের দাম্পত্য জীবনে দুঃসময়ের ছায়া!

অনুষ্কা শর্মা ও বিরাট কোহলির সম্পর্ক বহু বছর ধরে অনেকের কাছে হয়ে উঠেছে আদর্শ দম্পতির মডেল। সাত বছর পার হয়েছে তাঁদের বিবাহিত জীবনের, আর এখন তারা দুজনেই বাবা-মা, ছোট্ট ভামিকা আর অকায়ের আদরের মা-বাবা। কিন্তু সম্প্রতি খবর এসেছে যে, এই সুন্দর জুটির সম্পর্কেও কিছুটা দূরত্ব বেড়েছে, এবং দুজনের মাঝে কঠিন সময় কাটছে।

অনুষ্কা ও বিরাট দু’জনে এখন লন্ডনে সংসার করছেন, যেখানে বিরাট আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। অনুষ্কাও অভিনয় থেকে খানিক দূরে সরে গিয়েছেন, আর নতুন কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি তাঁকে। অনেক ভক্ত অপেক্ষায় ছিলেন অনুষ্কার ‘চাকদহ একপ্রেস’ ছবির জন্য, কিন্তু সেই ছবির ভবিষ্যত এখনও অনিশ্চিত।

সব ভালো-মন্দ সময়ের মতো, অনুষকা-বিরাটের সম্পর্কেও উঠাবসা রয়েছে। আর সেই খবর প্রকাশ্যে এসেছে সতীর্থ ও ক্রিকেটার হরভজন সিংহের মুখে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সম্পর্কে কঠিন সময় আসে, সেটা সবাই অভিজ্ঞতা করে। কিন্তু সে সময়েই সবচেয়ে বেশি একে অপরের পাশে থাকা দরকার। যত ভালো বুঝতে পারবে একে অপরকে, ততই ভালো হবে সম্পর্কের জন্য।”

হরভজনের কথায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে, প্রেম বা বিবাহ কখনই সবসময় মসৃণ থাকে না। মাঝে মাঝে ঝড়-বৃষ্টি আসবেই, কিন্তু একসঙ্গে দাঁড়ানোর মানসিকতা থাকলে সেটি পার করা যায়। হরভজন নিজেও ২০১৫ সালে গীতা বসরার সঙ্গে বিয়ের পর থেকে বুঝেছেন দাম্পত্য জীবনের ওঠাপড়ার মূল্য।

অনুষ্কা ও বিরাটের সঙ্গে হরভজনের পরামর্শটি আসলে অনেকটাই সার্বজনীন। ভালোবাসা শুধু মধুর মুহূর্ত নিয়ে গড়ে ওঠে না, বরং কঠিন সময়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। বিশেষ করে যখন দুজনেই ব্যস্ততার কারণে দূরে থাকেন, তখন যোগাযোগ, বোঝাপড়া আর বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় ভিত্তি।

বিরাট কোহলির অবসরের পর নতুন জীবন শুরু হলেও, দুই তারকার জীবনে এই চাপ আর দূরত্ব স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে। দেশের বাইরে থাকা, সংসারের দায়িত্ব, পেশার চাপে চাপা পড়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কের নানা দিক। তাই পারস্পরিক বোঝাপড়া ছাড়া চলতে পারে না এই জীবনযাত্রা।

অনুষ্কা শর্মার ক্ষেত্রেও দেখা যায়, তিনি নিজেকে অনেকটাই ব্যক্তিগত জীবনে সরিয়ে নিয়েছেন। কাজের ব্যস্ততা কমিয়ে, সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিরাটও তার পেশাগত জীবন থেকে এক ধাপে সরে এসে পরিবারের জন্য বেশি সময় দিচ্ছেন। এই পরিবর্তন স্বাভাবিকভাবেই কিছু মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

তবে হরভজনের কথায় যেন একটা আশার বার্তা লুকিয়ে আছে—যদি একে অপরের প্রতি ধৈর্য ধরে ভালোবাসা বজায় থাকে, তবে কঠিন সময়ও কাটিয়ে ওঠা যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।

অনুষ্কা-বিরাট দম্পতির এই গল্প অনেকের কাছে হয়তো পরিচিত, যেখানে ভালোবাসা থাকলেও জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ সামনে আসে। সে সময় পাশে থাকা আর বোঝাপড়া করাই পারে সম্পর্ককে শক্ত করে গড়ে তোলা।

সুতরাং, হয়তো এই দুঃসময় কেটে গেলে আবারও আমরা দেখতে পাবো তাঁদের হাসি-মুখ, একসঙ্গে কাটানো সুখের মুহূর্ত আর নতুন অধ্যায়ের শুরু। কারণ প্রেম, সংসার—সবই তারই অংশ, ওঠা-নামা ছাড়া কিছু নয়।

দোকানের মশলার বদলে ঘরেই বানিয়ে নিন মাংসের স্বাদ বাড়ানোর জাদুমন্ত্র

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

━ Related News

Featured

━ Latest News

Featured